তিব্বতী ঐতিহ্যানুসারে, ব্রাহ্মণ বংশজাত নাথপন্থী ও পরে সহজিয়া মতে দীক্ষাপ্রাপ্ত আচার্য কৃষ্ণপাদ বা কাহ্ন পা বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ জলন্ধরীপাদের শিষ্য ছিলেন। সহজপন্থী তান্ত্রিক কাহ্ন পা সিদ্ধাচার্য, মন্ডলাচার্য ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হন।
তিব্বতী বৌদ্ধ লামা তারানাথের মতে, বিদ্যানগর নামক স্থানে তাঁর বাসস্থান ছিল। সম্প্রতি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গবেষক প্রখ্যাত বৌদ্ধ ধর্মীয় অধ্যক্ষ জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া “নেত্রকোণা: অতীত ও বর্তমান” শীর্ষক এক গবেষণামূলক রচনায় ভাষাবিচারে কাহ্নপাকে বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার কৃষ্ঠপুর গ্রামের সন্তান বলে দাবী করেছেন।
কাহ্নপা সোমপুর মহাবিহারে সাধনা করতেন। তিনি হেবজ্র, যমান্তক প্রভৃতি বজ্রযান তন্ত্রসাধনার ওপর পঞ্চাশটির ওপর গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি চর্যাপদের তেরোটি পদ রচনা করেন। তবে কাহ্নপা রচিত ২৪তম পদটি পাওয়া যায়নি। পালরাজবংশের তৃতীয় রাজা দেবপালের রাজত্বকালে তিনি বর্তমান ছিলেন।
-
কলামিস্ট
Post a Comment