// সাগর আল হেলাল //
লেখক যদি ওনার নিজের লেখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল-যত্নশীল না হন, তাহলে সেই লেখাকে অন্যেরা শ্রদ্ধা করবেন কোন কারণে। বিভিন্ন টাইম লাইন ঘুরে দেখেছি, একজন লেখকের একটা দুইটা বইয়ের কভারে নাম উঠেছে বলেই- আর লেখার প্রতি যত্ন নেই। যেন পাঠক নিজে থেকে ওটা যত্ন করে পড়ে নেবেন, এই আশায় ছেড়ে দেন। অনেকে বলে থাকেন টাকার জোরে বই ছাপিয়ে লেখক হয়েছেন। আমি সেটা বলতে চাই না। কারণ আজকাল সম্মানিত প্রকাশকবৃন্দের মন মানসিকতাও এমন হয়েছে যে, কবি সাহিত্যিকরা যেন মুরগী। এটাকে পেলেই ওনারা ছুরি চাকু নিয়ে তৈরী, জবাই করার জন্য। আর তাই আমি মনে করি একটা বই প্রকাশের ব্যাপারে লেখককে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট থাকারও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, সৃষ্টিটা ওনার। কিন্তু, সৃষ্টিকর্তারই যদি তার সৃষ্টির প্রতি আস্থা-ভালোবাসা না থাকে তাহলে চলবে কেন ? লেখক যে কথা লিখেন, নিজের মধ্যে তার কোন প্রতিফলন নেই- নিজে সেটা বিশ্বাসও করেন না। এটাকে আমরা কি বলবো?
ধর্মতত্ত্বে দেখা যায়, ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করে রিজিক দান করেছেন। স্বর্গ-নরক দিয়েছেন। তাঁর সৃষ্টিকে ভালো-মন্দ বুঝার সামর্থ্য অর্জনের জন্য গ্রন্থ ও তা বিশ্লেষন করে দেওয়ার জন্য মনীষী পাঠিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- সেই গ্রন্থ সংরক্ষণের।
অথচ একজন লেখক একটা গ্রন্থ রচনা ও তা সংরক্ষণের জন্য কতটুকু দায় রাখছেন নিজের কাঁধে ? একজন পাঠক একটি লেখা ভালোবেসে অনেকদূর অগ্রসর হন। এক সময় দাঁড়ান গিয়ে লেখকের মুখোমুখি। তিনি চান লেখা আর লেখকের সম্পর্ক বুঝতে। ঐ সময় তিনি যদি হতাশ হয়, তাহলে সেই লেখার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দাঁড়িয়ে যায়। পাঠকের ভালোবাসা নষ্ট করার কোন অধিকার আমার নেই। যেটা পাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই সেটার কামনা কেন করবো আমি ?
-
০৮.০২.২০২২
লাইক কমেন্টস করে উৎসাহিত করুন।
ردحذفإرسال تعليق